• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৮:১৮ এএম

ফরিদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু 

ফরিদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু 

ফরিদপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই রোগীর মুত্যু হয়েছে। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৯ আগস্ট) তাদের মৃত্যু হয়। 

সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো-

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) 
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নির্মল সিকদার (৫৪) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নির্মল সিকদারের ভাই পরিমল সিকদার বলেন, ২ আগস্ট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন নির্মল। ওই দিনই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চারদিন আগে গত মঙ্গলবার তাকে ঢাকার তেজগাঁও ইমপালস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
নির্মল সিকদার ফরিদপুরের বোয়লমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের মৃত. বীরেন সিকদারের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।

ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অপি রানী রায় (১৭) মারা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর নেওয়ার পথে বীরগঞ্জ এলাকায় তার মৃত্যু হয়। সে এবার এইচএসসি পাস করেছে।

পরে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের দুই জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ জন রোগী মারা গেল।

ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু মেধাবী ছাত্রী অপি রানী রায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা গ্রামের অনুকুল চন্দ্র রায়ের একমাত্র মেয়ে।
সে এবার রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে পাস করে ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হওয়ার জন্য ঢাকা ফার্মগেটে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় এবং সেখানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়।

অপি রানী রায়ের নিকটাত্মীয় ঠাকুরগাঁও নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর অঞ্জিলি রানী রায় বলেন, অপি রানী রায় গত ৪ আগস্ট ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে আসে। ৫ আগস্ট ডেঙ্গু পরীক্ষায় সে তার দেহে ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়লে তাকে  ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে যাওয়ার পর সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত তাকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা আক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ৬ আগস্ট একই উপজেলার নেকমরদ গ্রামের নয়ন ইসলামের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র রবিউল ইসলাম (১৭) দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সেও ঢাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. প্রভাষ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


কেএসটি

আরও পড়ুন