পটুয়াখালীর গলাচিপার উলানিয়া বন্দরে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা করেছে যুবলীগের কর্মীরা। হামলায় নুরসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নুর তার গ্রামের বাড়ি চরকাজলে চলে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে গলাচিপা থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার জন্য ভিপি নুরুল হক নুর বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে তার গ্রামের বাড়ি চরকাজল থেকে গলাচিপায় আসেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলযোগে দশমিনায় যাওয়ার পথে উলানিয়া চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে উলানিয়া বন্দর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় ভিপি নুরসহ তার দুই ভাই ও ভগ্নিপতি মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নুর বাড়িতে চলে যান।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন শাহ জানান, পনেরোই আগস্ট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার কারণে স্থানীয় লোকজন তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছে। তারা আসলে নুরকে চিনতে পারেনি। আওয়ামী লীগের এলাকা হওয়ায় পনেরোই আগস্ট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ জানান, হামলার খবর শুনে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে পাঠায়। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, তাড়া খেয়ে নুর স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এনআই