• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৫:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৫:৪৬ পিএম

গাইবান্ধায় পুলিশের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাইবান্ধায় পুলিশের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল আবু বকর সিদ্দিক - ছবি : জাগরণ

গাইবান্ধায় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ন্যায্য বিচারের আশায় পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ও তাকে সহায়তাকারী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে বুধবার (১৪ আগস্ট) গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অভিযোগটি থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়। সেদিন বিকেলেই ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবু বক্কর সিদ্দিক রংপুর জেলার মেট্রোপলিটন পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। ধর্ষিতার নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক তার সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ সদস্য। ১১ আগস্ট প্রতিবেশী ফেরদৌস মিয়ার স্ত্রীর সহযোগিতায় তার বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যান আবু বকর সিদ্দিক। সেখানেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই ছাত্রীকে। এতে সহযোগিতা করেন আমিনুল ইসলাম।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের বাঁশঝাড়ে ধর্ষণ করেন আবু বক্কর সিদ্দিক। এদিনও আমিনুল ইসলাম তাকে সহযোগিতা করেন। সেখান থেকে ফিরে এসে মায়ের সামনে ঘটনার বিবরণ দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই স্কুলছাত্রী।

পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষিতা লোকলজ্জার ভয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন রাতে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আবু বকর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া মৌজার বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে এবং আমিনুল ইসলাম একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।

এ ব্যাপারে শনিবার (১৭ আগস্ট) ধর্ষিতার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক পুলিশ সদস্য হওয়ায় সে ও তার লোকজন মামলা না করতে নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছে।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অপর আসামি আমিনুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন