• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম

শেষ রক্ষা হলো না

বনভোজনের আড়ালে বাল্যবিবাহের আয়োজন

বনভোজনের আড়ালে বাল্যবিবাহের আয়োজন
আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য তৈরি করা হয় সুদৃশ্য প্যান্ডেল  -  ছবি : জাগরণ

মেহেরপুরের ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্ক। সেখানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে। চলে বনভোজন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে সেখানে একটি বড় প্যান্ডেল করে রান্নাবান্না চলছে। দেখলে মনে হবে বনভোজন আয়োজন। কিন্তু না, এর আন্তরালে মিনতী খাতুন নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল।

কিন্তু এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বন্ধ হয়ে যায় বনভোজনের আড়ালে আয়োজন করা আলোচিত সেই বিয়ে। শুধু তা-ই নয়, আদালতের কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি নিতে হয়েছে বর ও কনেপক্ষের অভিভাবকদের।

গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রংমহল। এ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিনারুল ইসলাম মিনুর মেয়ে মিনতী খাতুন তেঁতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী রামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার শওকত আলীর ছেলে আলামিন হোসেনের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়। কনের বাবার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের ধার্য দিন ছিল আজ শনিবার (১৭ আগস্ট)। সে মতো আত্মীয়স্বজন ও বরপক্ষের লোকজনের আসার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিবাহ দিলে প্রশাসনের বাধার মুখে পণ্ড হতে পারে এমন আশঙ্কায় বনভোজনের কৌশলী নাটক সাজায় কনেপক্ষের লোকজন। এমনটি জানিয়েছেন রংমহল গ্রামের অনেকেই।

চরে চার-পাঁচশ অতিথির জন্য রান্নার আয়োজন  -  ছবি : জাগরণ

খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুকুমার সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিসি ইকো পার্কে। এ সময় বিয়েতে আসা অনেকে পালিয়ে গেলেও বরসহ উভয় পক্ষের অভিভাবকরা ধরা পড়েন। পরে সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ বিষয়ে রায় দেন।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকুমার সরকার বলেন, বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। কনের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবে না। এ বিষয়ে বরের বাবা ও কনের মা লিখিত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন। আইন অমান্য করে তারা যদি বিয়ে দেন, তাহলে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সাজা নিশ্চিত করা হবে।

এনআই

আরও পড়ুন