• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম

আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

আরিচা-পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে
বাস সংকটের কারণে অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন  -  ছবি : জাগরণ

ঈদের ছুটি শেষে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। যাত্রীর তুলনায় যানবাহন সংকটের কারণে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকাগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা।

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) থেকে যাত্রীরা তাদের কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছেন। লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত শ্যালো নৌকাযোগে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে এসে নামছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন পরিবহনে তারা নবীনগর, সাভার, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে এসে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। এ সুযোগে পরিবহন মালিক- শ্রমিকরা যাত্রীদের নিকট থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছেন। ঢাকা-আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটের মধ্যে চলাচলকারী লোকাল বাসগুলো সাভার, নবীনগর ও গাবতলীর ভাড়া বাসের ভেতরে ২০০ থেকে ৩০০ এবং দাঁড় করিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছে। অন্যান্য সময় ভাড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পিকআপ ভ্যানে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। বাস সংকটের কারণে অনেক যাত্রী ট্রাক, পিকআপে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঢাকাগামী যাত্রী মোন্নাফ আলী বলেন, ‘আমি শনিবার দুপুর ১২টায় আরিচা ঘাটে এসে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারিনি। কখন ঢাকায় পৌছাব তা বলতে পারছি না। আক্কাস আলী নামের এক যাত্রী নগরবাড়ী থেকে শনিবার ১১টায় আরিচায় আসেন। তিনি নবীনগরে যাবেন। বেলা ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চ পারাপার কোচ যাত্রীদের তাদের নির্ধারিত কোচের জন্য ২-৪ ঘণ্টা ঘাটে অবস্থান করতে হচ্ছে।

ঢাকা-আরিচা সড়কে চলাচলরত পরিবহনের মালিকরা জানান, ঢাকা-আরিচা এবং পাটুরিয়া মহাসড়কে যাত্রীসেবা, নবীনবরণ পরিবহন, যোগাযোগ, পদ্মা লাইন, নিলাচল, সেলফি, বিআরটিসিসহ মোট ৩৫০টি বাস নিয়মিত চলাচল করে থাকে। ঈদের ছুটি শেষে হঠাৎ করে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় যানবাহনের সংকট দেখা দেয়। এ সময় অন্যান্য রুটের বাস এসে আরিচা-পাটুরিয়া থেকে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এ সুযোগে একশ্রেণির মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম ফিরোজ মাহমুদ জানান, সকালের দিকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরও বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেলে মোবাইল টিম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবহনকে জরিমানা করা হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন