• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ১২:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০১:৪২ পিএম

ভারতে গাড়ি চাপায় লাশ হয়ে ফিরল দুই বাংলাদেশি

ভারতে গাড়ি চাপায় লাশ হয়ে ফিরল দুই বাংলাদেশি

ভারতের কলকাতায় শুক্রবার গভীর রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশির লাশ রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত এসেছে বাংলাদেশে। বেনাপোল চেকপোস্টে লাশ আসার পর স্বজনদের আজাহারিতে গোটা এলাকা ভারি হয়ে ওঠে। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ দুইটি নিয়ে যান স্বজনরা। লাশ হস্তান্তরের সময় চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় বিএসএফ, পুলিশ, কাস্টমস ও বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন- ঝিনাইদাহ জেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে কাজি মোহাম্মাদ মঈনুল আলম (৩৬) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার চান্দুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)। 

কলকাতার সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার শেক্সপিয়র স্মরণি ও লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। জাগোয়ার নামের একটি দ্রুতগামী গাড়ি শেক্সপিয়র স্মরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড গতি নিয়ে ধাক্কা দেয় একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত ওই দুইজনকে কলকাতার এস এস কেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 

ভারতীয় পুলিশ সূত্র জানায়, তারা দুজন গত ১৫ দিন যাবত কলকাতায় চিকিৎসা করতে উঠেছিলেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে। 

নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফারহানা ইসলাম ঢাকায় সিটি ব্যাংকে ও মঈনুল ইসলাম ঢাকায় গ্রামীণ ফোনে চাকরি করতেন। গত ১৫ দিন আগে তারা ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্য গিয়েছিল। ভারতে তাদের সঙ্গে যাওয়া কাজি সাফি রহমত উল্লাহ জানান, আমরা তিনজনই দাঁড়িয়ে ছিলাম শেক্সপিয়র স্মরনি রোডে। এমন সময় আকস্মিক জাগুয়ার নামে একটি জিপ সজোরে পাশের রাস্তায় উঠে পড়ে ফারহানা ও মঈনুলকে চাপা দেয়। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত ফারহানার লাশ বেনাপোল চেকপোস্টে গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই আবু ওবাইদা সাফিন আর মঈনুল আলমের লাশ গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই জিয়াদ আলী।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি (তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ দিকে, ঘাতক জাগুয়ারের চালক কলকাতার বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান আরসালানের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজ। তাকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শেক্সপিয়র থানার কলকাতা পুলিশ প্রেপ্তার করেছে। প্রেপ্তারকৃত আরসালান পারভেজকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত।

কেএসটি

আরও পড়ুন