• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৫:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৯:২৫ পিএম

দেশের প্রথম আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়াম হচ্ছে কুলাউড়ায়

দেশের প্রথম আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়াম হচ্ছে কুলাউড়ায়
ব্যক্তি উদ্যোগে দেশের প্রথম আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়ামের নির্মাণকাজ চলছে কুলাউড়ায়  -  ছবি : জাগরণ

একসময়ের দেশসেরা ক্রীড়াবিদ, অ্যাথলেট, লেখক, সাংবাদিক সাঈদ-উর-রব। খেলাধুলা থেকে অবসর নিয়েও তিনি তার কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যান দেশ-বিদেশে। এ নিয়ে তিনি কয়েকটি বইও লিখেছেন। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে মনের যে তৃপ্তি পাওয়ার কথা, সেটা তিনি পাচ্ছিলেন না। খেলাধুলায় দেশের অর্জন অনেক সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তা সংরক্ষণে ছিল না কোনো উদ্যোগ।

সেই আক্ষেপ থেকেই সুদূর আমেরিকা থেকেও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দেশের প্রথম আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই প্রজেক্টের প্রায় অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরোপুরি শেষ হতে আরও বছর দুয়েক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রজেক্টের অন্যতম দায়িত্বে থাকা তুহিন আহমদ পায়েল। মিউজিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মাহে-মনি আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়াম’।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অভূতপূর্ব সাফল্য আর ইতিহাস সংরক্ষণ ও সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাঈদ-উর-রব এই মিউজিয়াম তৈরি করছেন। পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য থাকা-খাওয়ারও সুব্যবস্থা করছেন তিনি। পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর এখানে এসে কেউ ফিরে যেতে চাইবেন না। নিখুঁত সৃষ্টিশীল প্রকৌশলী চিন্তায় সুশৃঙ্খল অবকাঠামো দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসবেন দূর-দূরান্ত থেকে, এমনটা আশা করছেন স্থানীয়রা।

প্রবল সংরক্ষণের চেতনা নিয়েই পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা চিন্তা করে দেশসেরা ক্রীড়াবিদ, অ্যাথলেট, লেখক, সাংবাদিক সাঈদ-উর-রব এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের গাজিপুর চা-বাগানের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই স্পোর্টস অ্যান্ড আর্টস মিউজিয়াম। প্রায় ৩০ বিঘা জমি নিয়ে মিউজিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১৫ সালে। ১২ হাজার বর্ঘফুটের ওপর ৪ তলাবিশিষ্ট বিশাল স্থাপনার কর্মযজ্ঞ চলছে। মিউজিয়ামের সামনে খনন করা হয়েছে শান-বাঁধানো দিঘি। দিঘির চারপাশে অঙ্কিত হচ্ছে বনেদি আমলের খাঁজকাটা কারুকাজ।

মিউজিয়ামে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রয়াত ও বর্তমান ক্রীড়াবিদদের ব্যবহৃত দুর্লভ ক্রীড়াসামগ্রী, অটোগ্রাফ, ছবিসহ বিভিন্ন সামগ্রী থাকবে। ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক নানা তথ্যবহুল বই ও নিদর্শনও স্থান পাবে এখানে।মিউজিয়ামে আসা দর্শকদের জন্য থাকবে বিশাল পাঠাগার। থাকবে কনফারেন্স রুম, কফি হাউস। এ ছাড়া সামনে খেলাধুলার জন্য মাঠ এবং শিশুদের জন্য পৃথক বিনোদনের ব্যবস্থা। মিউজিয়াম এলাকার মধ্যে নির্মিত হবে অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স কটেজ। সবকিছুতেই থাকবে বর্তমান ও প্রাচীন স্থাপত্যের ছোঁয়া।

পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২১ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর পরই উদ্বোধনের মাধ্যমে মাহে-মনি আর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস মিউজিয়ামের পর্দা উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এই প্রজেক্টের সিইও হাবিবুর রহমান টুটু বলেন, ‘এটা বিশাল প্রজেক্টের একটি কাজ। নিখুঁতভাবে কাজ করতে একটু বেশি সময় লাগছে। প্রাচীন আভিজাত্য আর আধুনিকায়নের সমন্বয়ে নির্মিত হচ্ছে এর অবকাঠামো। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও শোভা পাবে এর আশপাশে। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে শৌখিন পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।’

এনআই

আরও পড়ুন