• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে হত্যা : পিবিআই

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে হত্যা : পিবিআই
শিক্ষিকা জয়ন্তী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলছেন এসপি মো. ইকবাল - ছবি : জাগরণ

চাঁদপুরে স্কুলশিক্ষিকা জয়ন্তী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আনিছ ও জামাল নামের ২ ডিশের কর্মচারী। তারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে পিবিআই প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানিয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল তিনটায় চাঁদপুরে পিবিআই কার্যালয়ে এসপি মো. ইকবাল এ তথ্য জানান। হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওই বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কারা অবস্থান করেছে তা চিহ্নিত করেছে পিবিআই।

আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে পিবিআই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডিশের কর্মচারী আনিছুর রহমান ও জামাল হোসেন ঘটনার সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করেছে এই তথ্য নিশ্চিত হন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজনই চাঁদপুর ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী রমজানের স্টাফ হয়ে লাইনম্যান হিসেবে বাসাবাড়িতে ডিশ সংযোগ দিত।

পিবিআইর এসপি মো. ইকবাল জানান, সারা দেশে যখন পদ্মা সেতু নিয়ে গলাকাটা গুজব ছড়িয়েছে, ঠিক তখনই চাঁদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে গলাকেটে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে হত্যা করা হয়েছে। জয়ন্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমেই হত্যার কোনো ক্লু না পাওয়া গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই মূল হোতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে মূল হোতাদের আটক করা ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

আটক ডিশের স্টাফ আনিছ ও জামাল ঘটনার দিন দুপুরে কোয়ার্টারে গিয়ে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তিনি ডাক-চিৎকার দিতে শুরু করলে ঘাতকরা বাসায় টেবিলে রাখা ফল কাটার ছুরি নিয়ে জয়ন্তীর গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২১ জুলাই রোববার বিকালে পুলিশ চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।

এনআই

আরও পড়ুন