• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৯:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৯:৫৮ পিএম

বাবা-মাকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

বাবা-মাকে বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
মাদ্রাসাছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত লাল্টু  -  ছবি : জাগরণ

ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে না নেয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ওই কিশোরীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), প্রয়াত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজু (৩০)। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে গত এক মাস আগে ধর্ষণচেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতা মাদ্রাসাছাত্রীর মা শীলা খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রায়ই নানাভাবে হুমকি দিত আসামিরা। গত তিন দিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয়, মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে পুনরায় ধর্ষণ করা হবে।

নির্যাতিত ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘রোববার ছিল ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিন। ঠিক এর আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরীফুল লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদের মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে আমাদের দুজনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্বশানঘাটের কাছে বাঁশবাগানে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।’

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, ‘ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠাই। একই সাথে এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা মামলা করার পর প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

এনআই

আরও পড়ুন