• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৫:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৫:৪৬ পিএম

রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিট হতে পারে বৃহস্পতিবার

রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিট হতে পারে বৃহস্পতিবার

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিট হতে পারে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট)। আদালতের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী এ মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে। 

রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ আসামি গ্রেপ্তার না হলেও মামলার চার্জশিট দেবার জন্য পুলিশের প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। 

গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেছে। 

বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আসামিদের হাজির করা হবে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনার থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, তিনি প্রতিবেদন তৈরিতে দিনরাত কাজ করছেন। তবে বৃহস্পতিবারই প্রতিবেদন দাখিল করবেন কিনা, সুনির্দিষ্টভাবে তিনি সে বিষয়টি বলতে রাজী হননি। গত ৩১ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। ওই তারিখে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। পরের তারিখ ছিল ১৪ আগস্ট। সেদিনও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করা হতে পারে। 

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, রিফাত হত্যার সাথে জড়িত থাকা আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন করলে এবং বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গণ্য হবে। 

মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরের দিন তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তার দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ৩১ জুলাই সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য মিন্নি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেছেন। বিচারক তার আবেদন গ্রহন করে নথিভূক্ত করেছেন। 

মিন্নি গ্রেপ্তারের পরে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সাথে মিন্নি জড়িত। পরবর্তীতে বলেছেন, হত্যাকারী অনেকের সাথে মিন্নির আগে ও পরে কথা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিন্নির নাম চার্জশিটে যুক্ত হবে, এটা অনেকটা নিশ্চিত। 

এদিকে, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কেস ডকেট নিয়ে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে পুলিশ সুপারকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল আদেশ দিয়েছেন। মিন্নিকে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আদালতে নেওয়া হয়েছে ও কোথায় কখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং পুলিশ সুপার কবে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন