• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ১১:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ১১:২৩ এএম

আইনি জটিলতায় থানায় নষ্ট হচ্ছে শতাধিক মোটরসাইকেল

আইনি জটিলতায় থানায় নষ্ট হচ্ছে শতাধিক মোটরসাইকেল

রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় আইনি জটিলতার কারণে খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ দিন যাবৎ পড়ে থেকে ধ্বংস হচ্ছে শতাধিক মোটরসাইকেল। এর মধ্যে বেশির ভাগ বাইকই বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে জব্দ ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন। থানা পুলিশ বলছেন, বৈধ কাগজপত্র ও আদালতের নির্দেশনা ছাড়া জব্দকৃত বাইকগুলোর বিষয়ে  কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৮/৯ বছর পূর্বে হাতেগোনা কয়েকটি মামলার আলামত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল ছিল।

গত ২০১১ সালের ১৯ মার্চ উপজেলার শিবপুরহাট বাজারে প্রয়াত বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। একই সময় একই স্থানে স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীও এক সমাবেশের ডাক দেয়। এতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় উপজেলা প্রশাসন সে স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে বিএনপির কর্মীরা পার্শ্বের একটি আম বাগনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে আ’লীগ-বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

সে সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রায় ৭৫টি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। এর মধ্যে যাদের বৈধ কাগজপত্র ছিল তারা থানা থেকে বাইক নিয়ে গেলেও কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় প্রায় ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল থানা পুলিশ জব্দ করে। এরপর থেকেই থানায় এসব জব্দকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

অপরদিকে গত ৭ বছরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিনতাই ও মাদক মামলার আলামত হিসাবে রয়েছে প্রায় ২০/২৫ টি বাইক।

গত বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, থানা ভবনের পূর্ব পাশের মাঠে খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধভাবে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল রাখা আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো প্রকার তদারকি না থাকায় ঝোপ-ঝাড়ে রূপান্তিত হয়ে আছে। গুল্ম লতায় বাইকগুলো প্রায় ঢেকে যাচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ বাইকই এখন অকেজো।
 
তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বিভিন্ন মামলার আলামত হিসাবে ওই মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া অনেক মোটরসাইকেল আছে, যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। আর কাগজপত্রবিহীন জব্দকৃত মোটরসাইকেলের বিষয়ে থানার পক্ষ থেকে কোনো সুরাহা করা সম্ভব নয়। তবে আদালতের নির্দেশনায় অনেক সময় কিছু কিছু গাড়ি নিলামে বিক্রি হয়।

এমএইউ
 

আরও পড়ুন