• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৪:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৪:৩২ পিএম

বরিশালে স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ ডাকাত দলের ৮ সদস্য আটক

বরিশালে স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ ডাকাত দলের ৮ সদস্য আটক

বরিশাল মহানগরী এলাকার একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৬ সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম হাওলাদার, একই উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে মো. মনির হাওলাদার, বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকার মো. মান্নান শেখের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ, উজিরপুর উপজেলার উত্তর লস্কুরপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম বেপারীর ছেলে মো. মাছুম বেপারী, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামের মৃত আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো. খলিল হাওলাদার ও মাসুম বেপারী।

এছাড়াও ডাকাত চক্রের সহযোগী ও লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের অপরাধে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ফরাজি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও চোরাই স্বর্ণের ক্রেতা আশিষ কর্মকার (৩০) এবং একই উপজেলা সদরের কর্মকার পট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের মালিক আশোক কর্মকার (৩৮)।

ডাকাতির ঘটনার এক মাসের মাথায় মহানগরীর বন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরী’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নগরীর আমতলার মোড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের ৫ম তলার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান-পিবিএম (বার) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়ার ধোপাকাঠি এলাকার সৈয়দ মোস্তফা কামাল ওরফে হুমায়ুন মীর এর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাত সদস্যরা ঘরের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লক্ষাধিক টাকা’র মালামাল লুট করে।

এই ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামরার সূত্রধরে সহকারী কমিশনার (বন্দর থানা) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরী’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত এবং বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ডাকাতির ঘটনার ক্লু-খুঁজে পায় পুলিশের ওই টিম।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এক এক করে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের ওই চৌকশ টিম। এমনকি তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্বর্ণালংকার, এলইডি টিভি, মোবাইলসহ বিভিন্ন লুন্ঠিত মালামাল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সেলাই রেঞ্জ, ছোট শাবল, দা, স্ক্রু ড্রাইভার, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ডাকাতির মালামাল ক্রয়ের অপরাধে দু’জনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার এর দায়িত্বে ছিলেন চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরী। ওই সময় তিনি বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের এমভি পারাবত লঞ্চ থেকে ৯ হাজার ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনার সূত্র ধরে আরো ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এটি মহানগর পুলিশের একটি বড় সফলতা ছিল।

কেএসটি

আরও পড়ুন