• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০১৯, ০২:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৩, ২০১৯, ০২:৫৪ পিএম

নাটোরে যুবলীগ নেতা মিন্টুকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

নাটোরে যুবলীগ নেতা মিন্টুকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা মাহবুব হায়দার মিন্টু  -  ছবি : জাগরণ

নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাহবুব হায়দার মিন্টুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বঙ্গজল এলাকার ট্রমা সেন্টারের সামনে নিজ বাড়ি থেকে বের হলে তুলে নিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় মিন্টুর ব্যবহৃত হোন্ডা ট্রাকসন গাড়িটি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। আহত যুবলীগ নেতা মিন্টু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং বগুড়ার ইউনিক কনসালটেশন ফার্মের ব্যবস্থাপক

আহত মিন্টুর বোন মমতা বেগম জানান, তার ভাই বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে নাটোরে বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হলে স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমন ও বাবুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে ট্রমা সেন্টারের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এসে সুমন নামের তার এক নিকটাত্মীয়ও মারধরের শিকার হন।

আহত মিন্টু বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল, চেক বই নিয়ে যায়। এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাবু ও সুমন দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল।’

অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবু ও যুবলীগ কর্মী সুমন জানান, মিন্টুর নেতৃত্বে ইতিপূর্বে সাব্বির বাহিনী সুমনের হাতের রগ কেটে দেয় এবং বাবুর দুই পা ভেঙে দেয় । তার পরও তারা মিন্টুকে কিছু বলেনি। মিন্টু হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তারা জড়িত নন। এটা ষড়যন্ত্র।

এ ব্যাপারে মিন্টুর বোন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

এনআই

আরও পড়ুন