• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৫:৫৯ পিএম

জামালপুরের ডিসির অনৈতিক কাজে ক্ষুব্ধ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ

জামালপুরের ডিসির অনৈতিক কাজে ক্ষুব্ধ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ
ফাইল ছবি

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের খাসকামরায় এক নারী অফিস সহকারীর সাথে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জামালপুর জেলাজুড়ে বইছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনাটির ব্যাপক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিষয়টি টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।

ডিসির এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জামালপুর জেলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জামালপুরবাসী। দ্রুত নিরপেক্ষ বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় জামালপুর জেলাবাসীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। লজ্জাজনক এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

জামালপুর নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জেলা প্রশাসকের এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতগুলোতে কাজ করতে নারীকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

শিক্ষক সমিতির নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ডিসির শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আমীর উদ্দিন বলেন, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় একজন জেলা প্রশাসক এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। চরম অনৈতিক এ ঘটনায় তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তাকে দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

জেলা জাসদের সভাপতি জাহিদ হাবীব বলেন, ন্যক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়ে জেলা প্রশাসক এ পদে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। জামালপুরবাসীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী সরকারের এই কর্মকর্তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন