• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৮:৫৯ পিএম

দুই বছরে বন্দুকযুদ্ধে ৩২ ক্যাম্পে ৩২ রোহিঙ্গা নিহত

দুই বছরে বন্দুকযুদ্ধে ৩২ ক্যাম্পে ৩২ রোহিঙ্গা নিহত

● ৩২টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা 

● ক্যাম্পগুলোতে অর্ধেকেরও বেশি যুবক

● নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত তারা

● শনিবারও নিহত হয়েছে দুই রোহিঙ্গা 

● উচ্ছৃঙ্খল রোহিঙ্গাদের নিয়ে শঙ্কায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

..............................................

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গত দুই বছরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৩২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন বিজিবি ও ২০ জন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশ ইয়াবা কারবারের সাথে সংশ্লিষ্ট।

শনিবার (২৪ আগস্ট) এই  তথ্য দিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বলেন, ২০১৭ সালে আগস্টে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর অবস্থা অনেকটা শান্ত ছিল। এখন তেমনটি নেই। আগে তারা ছিল খাদ্য এবং চিকিৎসা-নির্ভর। বর্তমানে রেশনসহ প্রায় সবকিছু ফ্রি পেয়ে আলস্যতার তাদের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি কাজ করছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া ক্যাম্পগুলোতে অর্ধেকেরও বেশি যুবক। ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়ার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে সংখ্যাগত দিক দিয়ে একটু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তবে এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিশাল এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুলিশের এই কর্তা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার কিছুদিন পর নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আধিপত্য বিস্তার, ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন নিয়ে বিরোধ, পূর্ব-শত্রুতার জের, ইয়াবা কারবার, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অপহরণ, খুন, গুম, ধর্ষণের মতো অনেক গুরুতর অপরাধের ঘটনা ঘটছে।

তিনি আরও বলেন,মিয়ানমার থেকে  মাদকের চালান দেশে অনুপ্রবেশকালে অধিকাংশ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি, পুলিশের সাথে বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গত দুই বছরে উখিয়া-টেকনাফের ৩২ টি ক্যাম্পে ৩২ জন রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এর মধ্যে উখিয়ায় ২৪ জন, টেকনাফে ৮ জন জন নিহত হয়।

শনিবার দিবাগত (২৪ আগস্ট) রাতে টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়। তারা হলেন- জাদিমুরা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহ ও বালুখালী ক্যাম্পের আবদুর শুক্কুর। এ সময় দুটি বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছন টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, উখিয়া-টেকনাফের ৩২ টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। অনেক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা বিপুল এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে ওঠছে। এদিকে দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর কারসাজিতে পরপর দুই বার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছেন বলে জানান তিনি। 

এসএমএম

আরও পড়ুন