• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম

বরিশালে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ২

বরিশালে কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ২
আটককৃত কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা  -  ছবি : জাগরণ

বরিশালে এক কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোর ছয়টার দিকে নগরী এবং সদর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে ওই পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যা কিনা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাদক উদ্ধার-সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় চালান এবং সবচেয়ে বড় সাফল্য। বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়স্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এ কথা জানিয়েছেন।

আটককৃতরা হলেন নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নগরীর কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার বাসিন্দা মৃত গাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে গাজী মাকসুদুল আলম ওরফে নান্টু (৪২) এবং তার সহযোগী ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামের কাজী মো. শাহীনের ছেলে ইমদাদুল হক রাজন কাজী (২২)।

তবে এ ঘটনায় আরো দুই মাদক ব্যবসায়ী পলাতক। তারা হলেন জাহিদ ও সজল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। তাই তদন্তর স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘কিছুদিন যাবৎ বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী গাজী মাকসুদুল আলম নান্টুর গতিবিধির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল। কিন্তু সে পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে গা-ঢাকা দেয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই সমীরণ মণ্ডল ও এএসআই সুমনসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর-সংলগ্ন ডিংগামানিক গ্রামের মৃত গাজী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় মাদকসম্রাট গাজী মাকসুদুল আলম নান্টুকে গ্রেফতার ও তার কাছ থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ৬টার দিকে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় নান্টুর সহযোগী জাহিদ ও সজলের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশের ওই টিম। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাহিদ ও সজল পালিয়ে যায়। পরে ঘরে তল্লাশি করে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার এবং তাদের সহযোগী ইমদাদুল হক রাজন কাজীকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ কমিশনার বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। তা ছাড়া মাদকের চালানটি কে এনেছে, সেটাও এরই মধ্যে জানা গেছে। তাকেসহ পলাতক সব আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। তা ছাড়া মাদকের সাথে অন্য কেউ জড়িত থাকলেও সে যেই হোক না কেন তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এনআই

আরও পড়ুন