• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ০৮:৫৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ০৮:৫৭ এএম

দুর্ভোগের আরেক নাম আত্রাই-কালিগঞ্জ সড়ক

দুর্ভোগের আরেক নাম আত্রাই-কালিগঞ্জ সড়ক

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনদুর্ভোগের আরেক নাম আত্রাই-কালিগঞ্জ সড়ক। উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন হতে সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ কি.মি. সড়কে বর্তমানে খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। 

সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির উন্নয়ন তথা সংস্কার, প্রশস্তকরণের লক্ষে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম এক প্রতিক্রিয়ায় আত্রাই-কালিগঞ্জ সড়কের জনদুর্ভোগ চরম মাত্রায় রূপ নিয়েছে বলে জানান। অনতিবিলম্বে সড়কের সমস্যা দূর করারও আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
প্রায় ২০ কি.মি. রাস্তাটির পার্শ্বে কাশিয়াবাড়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, বাঁকা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, নৈদীঘি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, পতিসর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, নওদুলী প্রাথমিক, মসকিপুর মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকসহ সর্বসাধারণের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া প্রান্তিক কৃষকের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত কৃষি ব্যাংকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটিই।  

জানা গেছে, আস্তে আস্তে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই সড়কটি। উপজেলার পূর্ব-উত্তরাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই প্রধান সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দে যা দেখে মনে হবে মাছ চাষের জন্য ছোট ছোট পুকুর। 

পালশা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সম্রাট হোসেন বলেন, কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করার ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলে সমস্যার শেষ নেই। এই প্রধান সড়কটি ব্যবহার করেই নানা প্রয়োজনে উপজেলার সমগ্র পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিনিয়তই উপজেলা সদরে আসতে হয় এবং উপজেলার উপর দিয়ে রাজশাহী ও নওগাঁয় প্রবেশ করতে হয়। অথচ রাস্তাটি দীর্ঘদিন কোন প্রকার সংস্কার হয় না।

তিনি আরো বলেন, এই বর্ষাকালে পুরো কাদাপানিতে একাকার হয়ে সড়কটি যেন ধান চাষের উপযুক্ত জমিতে পরিণত হয় এবং একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে পথচারীদের অভিযোগ। দ্রুতগতিতে সড়কের সংস্কার করা না হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা থেমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

সিএনজি চালক মোবারক হোসেন, ইজিবাইক চালক খোরশেদ আলম, ভ্যানচালক আব্দুল লতিফসহ অনেকেই বলেন, সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীরা এখন আর সব ধরনের গাড়িতে উঠতে চায় না। প্রতিদিনের আয় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। রাস্তা ভালো থাকতে আগে যেখানে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা আয় হতো এখন সেখানে অর্ধেক করাই অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে। আমরা আর পারছি না। যারা এই সড়কের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের পরিবারেও অশান্তি দেখা দিয়েছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, আমার জানামতে রাস্তাটি প্রথমে এলজিইডির আওতায় ছিল। পরে সেটি জাইকার আওতাভুক্ত হওয়ায় জাইকার দেওয়া ক্রাইটেরিয়া পূরণ না হওয়ায় সংস্কার কাজ হতে বিলম্ব হচ্ছে। 

এই বিষয়ে অফিসে গিয়ে এবং একাধিকবার মুঠোফোনে নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম হোসেন মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

কেএসটি

আরও পড়ুন