• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

দুই বান্ধবীর পুনরায় জেরা রোববার

নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের জেরা শেষ

নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষীদের জেরা শেষ

ফেনীতে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। তবে আগামী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) নুসরাতের দুই বান্ধবীকে পুনরায় জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, পিবিআইর তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলমের টানা ১১ দিন সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে নুসরাতের বান্ধবী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি ও নিশাত সুলতানাকে পুনরায় জেরার জন্য আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু আরো জানান, এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ৮৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৯২তম সাক্ষী পিবিআইর কর্মকর্তা শাহ আলমের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ জন আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। পিবিআই ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ ঘটনায় পিবিআই ২১ জনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে, ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার দায়িত্ব পেতে দেরি হওয়ায় কোনো ধরনের আলামত পাওয়া যায়নি। চারতলা থেকে দোতলায় নামা পর্যন্ত সিঁড়িতে নুসরাতের পায়ের ছাপ ও স্থিরচিত্র নেয়া হয়নি। ইটের আস্তর, দেয়ালের ছাপ অথবা দেয়ালে কেরোসিনের গন্ধের ছাপ এবং পার্শ্ববর্তী রেলিংয়ে নুসরাতের হাতের ছাপও নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ তাকে ১০ দিনের মতো জেরা করেন। বৃহস্পতিবারও তাকে আসামি রুহুল আমিন ও আফছার উদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী কামরুল হাসান জেরা করেন। বুধবার আসামি সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, সাইফুর রহমান, মো. জোবায়ের ও কামরুন নাহার মনির পক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ। তিনি ইতিমধ্যে ১৪ আসামির পক্ষে জেরা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান ৫ জন আসামির ছাদ থেকে নিচে পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথবা ফুটপ্রিন্ট নিয়েছেন কি না। তদন্ত কর্মকর্তা না-সূচক জবাব দেন। সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ঘটনাস্থলে টেপ দিয়ে মোড়ানো হয়েছে কি না জানতে চাইলেও তিনি না-সূচক জবাব দেন।

ঘটনাটি নিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি স্কেচ ম্যাচ অঙ্কন করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলেও জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, অনুমতি নেয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। ওইদিনই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পিবিআই অন্য ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করলে আদালত তা অনুমোদন করেন। গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাত রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের, জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এনআই

আরও পড়ুন