সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এখনও সময় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আন্দোলন আমরা এখনও শুরু করিনি। আন্দোলন শুরুর শুধু একটা বার্তা ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আপনারা দেখেছেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
 
ফারুক বলেন, এই বার্তা যদি আপনারা আওয়ামী লীগ বুঝতে না পারেন, এই জমায়েত এই জনস্রোত যদি আপনারা বুঝতে না পারেন তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমরা রাজপথে নামব, কারণ আমরা জানি মানববন্ধন করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।

ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি যখন অসুস্থ ছিলেন আপনার জন্য অনেক দোয়া করেছিলাম। আপনি বেঁচে থাকুন। আপনি বেঁচে না থাকলে আমরা কার মোকাবিলা করব। আপনাকে মোকাবিলা করবো সামনে। বন্ধু ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, আপনারা তো ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করেন, আপনারা সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে ভোট প্রয়োগ করে থাকেন, তারপরও রাজনীতি থেকে বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে না।

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মূলনায়ক- ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, আমি এই প্রসঙ্গে বেশি কথা বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলি, মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। আপনারা সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগরের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ ।

টিএস/ এফসি