• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম

ঝিনাইদহে নির্যাতনের পর গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ঝিনাইদহে নির্যাতনের পর গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
সামিয়া খাতুন  -  ছবি : জাগরণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ ওঠায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী এবং একই উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামের মৃত আরব আলীর মেয়ে।

নিহত সামিয়ার ভাই আয়ুব হোসেন জানান, ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে ইদ্রিসের সাথে সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর সামিয়ার গর্ভে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই সামিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল ইদ্রিস। এরই জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে গলায় রশি পেঁচিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় সামিয়ার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সামিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

আয়ুব হোসেন আরও জানান, ইদ্রিসের পরিবারের লোকজন সামিয়ার শিশুপুত্র জিসানকে আত্মগোপন করে রেখেছে। শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক ফজলুর রহমান জানান, পারিবারিকভাবে যৌতুক দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এমনকি শুক্রবার সামিয়াকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সামিয়া খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনআই

আরও পড়ুন