• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা

৬ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

৬ রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৬ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুকে আটকের পর স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের  নয়াপাড়া নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ভোররাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল  বিজিবি সদস্য নাফ নদী সীমান্তে টহল দেয়। এ সময় একটি নৌকাযোগে কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময় তাদের আটক করে। এ নৌকায় তিনজন নারী ও তিনটি শিশু ছিল।

পরে সকালে তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান। তিনি আরো বলেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ২৮ রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এদিকে স্থানীয়রা মনে করছেন, রোহিঙ্গারা নির্দিষ্ট তারিখে প্রত্যাবাসন না করায় এবং আয়েশি জীবনযাপনের বার্তা মিয়ানমারে পৌঁছানোর কারণে রোহিঙ্গারা অনুপ্রেবেশের চেষ্টা চালায়।

এ ব্যাপারে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যে হারে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আরাম-আয়েশ করছে, এসব কথা মিয়ানমারে পৌঁছানোর কারণে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় তারা। প্রত্যাবসান না হওয়ার অন্যতম এসব বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় খবর পাওয়া যায়, সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকায় অনুপ্রবেশ বন্ধ রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সৃষ্ট সহিংসতার পর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। দুই দফা দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা শর্তবিহীন মিয়ানমার ফেরত যেতে রাজি হয়নি।

এনআই

আরও পড়ুন