• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম

ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ পাট চাষিরা

ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ পাট চাষিরা

ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাট চাষ করে এবার হতাশ হয়ে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের কৃষকরা। পাটের বর্তমান বাজার দরে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মণপ্রতি পাটে শ্রমিকের মজুরিসহ খরচ পড়েছে প্রায় ১৫০০ টাকা। মণপ্রতি একই দামে পাট বিক্রি করছে কৃষকরা। সরকারিভাবে পাট না কেনায় স্থানীয় পাইকারদের কাছে ১৫০০ টাকাই মণ দরে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। ফলে কৃষকদের কোনও লাভ থাকছে না।

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বলই গ্রামের কৃষক মহব্বত খান জানান, প্রতি বছর ১৬ গন্ডা জমিতে পাট চাষ করি। লাভ না হওয়ায় এবার ১০ গন্ডা জমিতে চাষ করেছি। পাট চাষ করে লাভ নাই। লাভ বলতে শুধু পাটখড়ি। প্রতিমণ পাট চাষে যে টাকা খরচ হয় তাতে পাট বিক্রি করে কোনও লাভ নেই। পাইকার ব্যবসায়ীরা মণপ্রতি পাট ১৫শ’ টাকার বেশি বলছে না। 
জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন। গত তিন মাস পাট চাষে যে পরিশ্রম করেছি তা সবই ভেস্তে গেছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. শফিকুল হাসান জানান, এবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ৪৮৭ হেক্টর ও তোষা পাট ২১ হেক্টর। টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় দেশি পাট ৪৭৫ হেক্টর ও তোষা পাট ২৬০ হেক্টর। শ্রীনগর উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ৪০ হেক্টর ও তোষা পাট ২৫ হেক্টর। সিরাজদিখান উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ১৫০ হেক্টর ও তোষা পাট ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর। লৌহজং উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ২৫০ হেক্টর ও তোষা পাট ৭০ হেক্টর। গজারিয়া উপজেলায় দেশি পাট আবাদ হয়েছে ২০৫ হেক্টর।

তিনি আরো জানান, পাটের আবাদ নির্ভর করে বৃষ্টিপাতের ওপর। এবছর পাট চাষ শুরুর সময় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। যে কারণে গত বছরের চেয়ে পাট কম হয়েছে। কিন্তু পাট চাষের ধারাবাহিকতা ঠিকই আছে। দেশি সিবি-১, সিবি-৩ এবং তোষা-৯৮, ৯৭ জাতের পাট মুন্সীগঞ্জ জেলায় চাষ হয়ে থাকে। এবার পাটে কোনও পোকার উপদ্রব নেই।
প্রতিমণ পাটে কৃষকের খরচ পড়েছে প্রায় ১৫শ টাকা। এখন পাটের যে দাম, তাতে কৃষকের লাভ থাকছে না।
সরকারিভাবে চাষিদের থেকে পাট কেনার কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা শুধু অল্প পানিতে পাট পচানোর জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

কেএসটি

আরও পড়ুন