• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০১:৪২ পিএম

গৃহবধূকে ধর্ষকের সঙ্গে থানায় বিয়ে 

ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত
ওসি ওবায়দুল হক

পাবনায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে থানায় ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, থানা কম্পাউন্ডে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় ওসি ওবায়দুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাজী ডেকে থানায় বিয়ে দেয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকায় এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আলী হোসেন ও সঞ্জু হোসেন নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ৫ জন আসামির মধ্যে মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সর্ম্পক ছিল একই গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবকের। গত ২৯ আগস্ট রাতে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাসেল ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। কিন্তু মামলা নথিভুক্ত না করে মীমাংসা করতে অভিযুক্ত যুবক রাসেলের সঙ্গে গৃহবধূকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ। 

পরে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত যুবক রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বুধবার সকালে আরেক আসামি দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওযার পর ওসিকে প্রত্যাহার ও এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

কেএসটি

আরও পড়ুন