• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭
সংঘর্ষে লিপ্ত রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা - ছবি : জাগরণ

আবাসিক হলের অতিথি কক্ষে বসা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ্ হলে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

মারধরের শিকার হন অমিত হাসান লিমন, মারুফ, সোহেল, রশিদ, রিয়ন, রনি ও জসীম। তাদের মধ্যে অমিত হাসান লিমনের কপালে গুরুতর জখম হয়েছে। মারধরের শিকার সবাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী।

অন্যদিকে মারধরকারীরা হলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত ও কামরুল। তারা সবাই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদার বখ্শ হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল ও অন্য আরেকজন শুয়ে ছিলেন। তারা বর্তমান গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনুর কমিটির কর্মী। এ সময় বর্তমান কমিটির প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী লিমন সেখানে যান এবং বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে তিনি এবং তার তিন বান্ধবী গেস্ট রুমে বসতে চাইলে কামরুলের সাথে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে লিমনের গলায় ও চোখের ওপরে কেটে যায়। এ ঘটনা শুনে ছাত্রলীগ নেতা বাকির অনুসারী অন্য নেতাকর্মীরা কামরুলের ২১৭ নম্বর কক্ষে যান। কামরুল কক্ষের বাইরে না এলে একটি জানালার কাচ ভাঙচুর করে তারা চলে যান।

এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা মাদার বখশ্ হলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে বাকিরঅনুসারী কয়েকজন নেতাকর্মীও ছিলেন। ওই সময় তাদের ওপর আকস্মিক হামলা চালান বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা। এতে চারজন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ইমতিয়াজ, মারুফ ছাড়া বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান বাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বিগত রাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটিতে প্রার্থী ছিলাম। তবে যে কারণেই হোক আমরা পদ পাইনি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের কর্মকাণ্ড ধূলিসাৎ করার জন্য এবং হল থেকে বের করে দেয়ার জন্য তারা হামলা চালিয়েছে পরিকল্পিতভাবে। এতে আমাদের কজন আহতও হয়েছেন।’

রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘হলের গেস্ট রুমে আমাদের এক কর্মী কামরুলের সাথে ঝামেলা হয়। পরে আমাদের ওই কর্মী চলে গেলে তারা দলবল নিয়ে রুমে ভাঙচুর করে এবং কামরুলকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদার বখশ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে ঢাকায় এসেছি। তবে ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টর এবং হলের আবাসিক শিক্ষকদের জানিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখন আর কোনো ধরনের ঝামেলা নেই।’

এনআই

আরও পড়ুন