• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৪:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯, ০৪:১১ পিএম

থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধ

রোহিঙ্গাদের কারণে বাড়ছে উখিয়া ও টেকনাফবাসীর অসন্তোষ

রোহিঙ্গাদের কারণে বাড়ছে উখিয়া ও টেকনাফবাসীর অসন্তোষ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল টাওয়ার - ছবি : জাগরণ

রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার লোকজন এমনিতেই বহুমাত্রিক ভোগান্তির শিকার। তার ওপর থ্রিজি, ফোরজিসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করে দেয়ায় স্থানীয় লোকজনকে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভ্যন্তরের মোবাইল টাওয়ারগুলো অপসারণ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে স্থানীয় লোকজন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনায় উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মোবাইলের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট-সেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে । জানা গেছে, বিটিসিএল এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরগুলো টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মোবাইলের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই নির্দেশনা এখন ২৪ ঘণ্টার জন্য কার্যকর করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। ফলে মোবাইলে কথা বলা ছাড়া ওই দুই এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খবর নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশি মোবাইল দিয়ে ভয়েস কল সারছে রোহিঙ্গারা। এনজিও কর্মী ইউনুস বাপ্পী ও রিদুয়ানুল হক জানান, উখিয়ার ২০টি ক্যাম্পে অন্তত ১০টি মোবাইল টাওয়ারের সুবিধা নিয়ে রোহিঙ্গারা নিরবচ্ছিন্ন ভয়েস কলে কথা বলছ। তাছাড়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের এমপিটি কোম্পানির সিম ব্যবহার করে ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের এমপিটি সিম চোরাই পথে এনে বাজারজাত করছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা এত সব সুবিধা ভোগ করলেও স্থানীয় লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা।

উখিয়ার বালুখালী এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, কদিন ধরে কোনোভাবেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কুতুপালংয়ের আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক খান বলেন, ইন্টারনেট সুবিধার পাশাপাশি মোবাইলে আগের মতো কথাও বলা যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যার সাথে কল ড্রপের কারণে বেড়েছে বিড়ম্বনা। স্থানীয় লোকজন সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন বলে তিনি জানান।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউপির চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আমার এলাকায় কোনো ধরনের থ্রিজি-ফোরজি নেটওয়ার্ক নেই। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ দুই উপজেলায় সব ধরনের মোবাইল সিমসহ নতুন সংযোগ প্রদানও বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে সব কোম্পানির মোবাইল টাওয়ার দ্রুত অপসারণপূর্বক রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহারে কঠোর হতে মত দেন তিনি।

নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মার্কেট কমিউনিকেশনের জিএম আশিকুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা অনুসরণ করে উখিয়া-টেকনাফে থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকদের মাঝে দুর্ভোগ ও উত্তেজনা থাকলেও কিছু করার নেই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিটিআরসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থ্রিজি-ফোরজি সেবা বন্ধ রাখতে। কিন্তু নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলো বলছে, উখিয়া-টেকনাফ পুরো এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বলছে বিটিআরসি। তবে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।

এনআই

আরও পড়ুন