• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল ৩ বন্ধু 

অসময়ে তরমুজ চাষে সফল ৩ বন্ধু 

সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে এবারই প্রথম ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। ওই এলাকার ৩ বন্ধু মিলে মাচায় তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তরমুজ চাষে যে ব্যয় করেছেন তার থেকে দ্বিগুন পরিমাণ অর্থ লাভবান হয়েছেন। 

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার উপদল গ্রামের সফল চাষি গোলাম রব্বানী রুবেল এতদিন অন্যান্য ফসলের ন্যায় মাটিতে  তরমুজ চাষ করতেন। কিন্তু টেলিভিশনে মাচায় তরমুজ চাষের ব্যতিক্রম প্রতিবেদন দেখে তিনি সরাসরি চাঁদপুর গিয়ে তরমুজের ক্ষেত দেখে অনুপ্রাণিত হন এবং তিনিও এলাকায় ফিরে এসে মাচায় তরমুজ চাষের আগ্রহী হয়ে উঠেন। আর তার এই আগ্রহের সঙ্গে বন্ধু রন্জু সরকার ও শহিদুল্লাহ একত্রে মাচায় তরমুজ চাষ শুরু করেন। সে অনুযায়ী সম্পূর্ণ নতুন এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে করে সফলও হয়েছেন। 

সাধারণত শীতকালে এ এলাকায় জমিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয় এবং গ্রীষ্মকালে তা বিক্রি করা হয়। কিন্তু উপদল গ্রামের গোলাম রব্বানী রুবেল চলতি বছরের জুলাই মাসে অর্থাৎ বর্ষাকালে জমিতে সরাসরি ব্লাক বক্স ও সাগর কিং তরমুজের বীজ বপন করেন। বৃষ্টির পানিতে বীজ যাতে পচে নষ্ট হয়ে যায় সেজন্য উন্নতমানের পলিথিন ব্যবহার করেন। যার ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বীজ অংকুরোদগম হয়ে চারা হিসেবে বেরিয়ে আসে।

নিবিড় পরিচর্যায় চারা বড় হয়ে বর্তমানে মাচায় তরমুজ ঝুলছে। প্রতিটি তরমুজ ৫-৭ কেজি ওজনের হচ্ছে এবং তা খেতেও সুস্বাদু।এ তরমুজের চাহিদা সর্বত্র থাকায় ইতোমধ্যে ১২ লাখ টাকায় ২ একর জমির তরমুজ বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট ৫০ শতক জমির তরমুজ আরো কমপক্ষে ৩ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন রুবেল ও তার বন্ধুরা।

তরমুজ চাষি গোলাম রব্বানী রুবেল বলেন, অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষের প্রতিবেদন দেখে আমি সরাসরি চাঁদপুরে যাই এবং বিশাল বিশাল তরমুজের ক্ষেত দেখে অনুপ্রাণিত হই। প্রথম বছর কিভাবে চাষ করব সেজন্য চাঁদপুর থেকে ব্লাক বক্স ও সাগর কিং তরমুজের বীজ ও ২ জন শ্রমিক নিয়ে আসি। তাদের দেখানো পদ্ধতি প্রয়োগ করে জমিতে বীজ বপন ও পরিচর্যা করি।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জানান, জেলার পীরগঞ্জ এলাকার কয়েকজন চাষি মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা লাভবান হয়েছেন। নতুন এই পদ্ধতি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে একদিনে যেমন তরমুজ সারা বছর পাওয়া যাবে অন্যদিকে চাষিরা লাভবান হবেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন