• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:৫০ পিএম

বাসরঘরেই স্বামী দেখলেন স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বাসরঘরেই স্বামী দেখলেন স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বরগুনার পাথরঘাটায় এক কিশোরীর বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাসরঘরেই স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১৫ জুলাই উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মামলা হয়। মামলার পর ৩ আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ওই কিশোরীর মা-বাবা ঢাকায় চাকরি করেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৬ বছরের মেয়েকে মামা আবুল কালামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার কারণে মামাতো ভাই সোলায়মানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। পরে সেই প্রেম রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী।

এই খবর গোপন রেখে কাকচিড়া ইউপির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর উপস্থিতিতে কালমেঘা ইউনিয়নের লাল মিয়ার ছেলে জহির উদ্দিনের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বাসরঘরে ঢুকেই নববধূর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে যান জহির। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রমাণ মেলে তার স্ত্রী ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে আবুল কালাম আজাদ, সোলায়মানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। ওই দিনই আবুল কালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জহির উদ্দিন বলেন, ‘কাকচিড়ার চেয়ারম্যান পল্টু স্থানীয় কাজীকে ডেকে এনে বিয়ে পড়ান এবং কাবিন রেজিস্ট্রি করিয়ে দেন। তিনি ও মেয়ের অভিভাবকরা আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন।’

কাকচিড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কার্যালয়ে এমন কোনো বিয়ে হয়নি।’

পাথরঘাটা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ওই কিশোরীর মামা আবুল কালামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন