• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম

টয়লেটে নবজাতকের মরদেহ, মা গ্রেফতার

টয়লেটে নবজাতকের মরদেহ, মা গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সখীপুর পৌরসভার সৌখিন মোড় এলাকার আবদুল জলিলের ভাড়াটিয়া বাসার টয়লেট থেকে নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার  করা হয়।

এ ঘটনায় ওই নবজাতকের মা স্বামী পরিত্যক্তা আর্জিনা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ৭ বছর আগে সখীপুর পৌরসভার আজাহার উদ্দিনের মেয়ে আর্জিনা আক্তারের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের শোলা প্রতিমা গ্রামের আলমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী আসিফ নামের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তিন বছর আগে দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের আলী হোসেনের ছেলে আজগর আলীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আর্জিনা। জানাজানি হলে দুই বছর আগে স্বামীর সাথে আর্জিনা আক্তারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে সন্তান আসিফকে নিয়ে পৌরসভার সৌখিন মোড় এলাকায় আবদুল জলিলের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন আর্জিনা। তবে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর্জিনা ও আজগর আলীর সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে ওঠে। আর্জিনার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল আজগরের। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দফা সালিস বৈঠক করে এলাকাবাসী।

আর্জিনার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, সম্পর্কের কারণে আজগর আলী আর্জিনার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত। তাদের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে আর্জিনা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের দাবিতে আর্জিনা আজগর আলীর বাড়িতে অবস্থান নিলে আজগর আলী ও তার পরিবারের লোকজন তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে আর্জিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে ৮ সেপ্টেম্বর তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে সে বাসায় ফিরে আসে। তবে শনিবার সন্ধ্যায় আর্জিনা টয়লেটে গেলে তার গর্ভের সন্তান পড়ে যায়। আজগর আলীর নির্যাতনের কারণেই এ গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম জানান, নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন