• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৩:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম

‘জাবি ভিসির অভিযোগের প্রমাণ মিললে শাস্তি পেতে হবে’

‘জাবি ভিসির অভিযোগের প্রমাণ মিললে শাস্তি পেতে হবে’
ওবায়দুল কাদের - ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিতো আর আইনের ঊর্ধ্বে নন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ মিললে তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

জাবির সাড়ে ১৪শ কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা দেয়ার বিষয় নিয়ে পরস্পরকে দায়ী করছেন জাবি ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে  এ টেন্ডারের কাজ নিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি যে হয়েছে, তা এখন প্রতীয়মান।  

জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ৯ আগস্ট জাবি ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের এক কোটি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে এক কোটি টাকা বণ্টন করে দিয়েছেন। যেখানে ভিসির পরিবারের দুই সদস্যও ছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে অভিযোগের তদন্ত দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে জাবিতে, যে আন্দোলন এখনো চলছে।

অপরদিকে শুরু থেকেই ছাত্রলীগকে ওই টাকা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের টাকা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ভিসি। তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের টাকা দাবির বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে জাবি থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগের যুক্তি খন্ডাতে গত বুধবার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে রাব্বানী বলেন, বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্যের স্বামী ও ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে কাজের ডিলিংস করে মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্য করেছেন। যার প্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এ খবর জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুরু হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে উপাচার্য আমাদের স্মরণ করেন। আমাদের অজ্ঞাতসারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে টাকা দেওয়ার প্রশ্ন তোলায় তিনি বিব্রতবোধ করেন। উক্ত পরিস্থিতিতে আমরা কিছু কথা বলি যা সমীচীন হয়নি। এ জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

এমএএম /বিএস 
 

আরও পড়ুন