• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

‘অপরাধী’ পুলিশ কর্মকর্তা, বিচার নিয়ে শঙ্কায় সেই গৃহবধূ

‘অপরাধী’ পুলিশ কর্মকর্তা, বিচার নিয়ে শঙ্কায় সেই গৃহবধূ
সন্তান কোলে ধর্ষিত গৃহবধূ, ডানে অভিযুক্ত এসআই খায়রুল আলম  -  ছবি : জাগরণ

যশোরের শার্শায় পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সোর্স কর্তৃক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ভুক্তভোগী। আসামি শনাক্তে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও সন্দিহান আইনজীবীরা। তবে মামলার তদন্ত সংস্থার দাবি, অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাড়িতে দল বেঁধে ধর্ষণের শিকার হন দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ। তার অভিযোগ, স্থানীয় গোরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আলম ও তার সোর্স কামরুল তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া লতিফ ও কাদের নামের আরো দুজন সে সময় ঘরের বাইরে অবস্থান করছিল।

এ ঘটনায় মামলা হলে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এজাহারে প্রধান অভিযুক্ত এসআই খায়রুল আলমের নাম বাদ দেয়া হয়। এতে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচাতেই এজাহারে তার নাম রাখা হয়নি। তাদের দাবি, এর আগেও গোরপাড়া ক্যাম্পের আরেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক হত্যার অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, ‘এসআই আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিল, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল আমাকে নাম বলতে না করছিল।’ 
এলাকাবাসী জানান, অপরাধী পুলিশ হলেও যেন পার না পায়।

অভিযোগ গ্রহণের আগেই পুলিশের পদক্ষেপ ন্যায়বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন যশোর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোস্তফা হুমায়ুন কবীর।

খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান মিয়ার দাবি, অপরাধী যেই হোক সেটি বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ নেই, তদন্তে  প্রমাণিত হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে, সে ব্যাপারে এখনই কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইতোমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষায় গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। অপরাধী শনাক্তে গ্রেফতার তিনজনের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত থেকে গ্রেফতারকৃতদের তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন