• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম

হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি, চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি, চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অবিরাম বর্ষণ ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের বাঁধ খুলে দেয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাতীবান্ধার ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা কমে ১৮ সে. মি. দাঁড়িয়েছে। তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৪টি উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, গড্ডিমারী ,সিংগীমারী, ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া। এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার ও কাকিনাসহ জেলার ১১ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসল। পুকুর জলাশয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।    

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় কাঁচা সড়কের প্রায় ৫০ মিটার অংশ পানির তোড়ে ভেসে যায়। এতে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম ধুবনী, ধুবনী, পূর্ব সিন্দুনা, চর সিন্দুর্নাসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। 

হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমার ৫ বিঘা জমির রোপা-আমন ধানের চারা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। সময়মতো বানের পানি নেমে না গেলে রোপা-আমন ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তিনি আরো বলেন, অসময়ে আমরা আরও একটি বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আর এ ফসল নষ্ট হয়ে গেলে আমরা দুর্বিসহ জীবনে পড়ে যাবো। একই উপজেলার তিস্তার চর গড্ডিমারী মমিনুর রহমান বলেন, আকস্মিক তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বাড়ি-ঘর বানের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদি পশু-পাখি আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আমরা কোনো রকমে নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই নিয়েছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হারুন অর রশিদ জানান, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তাপারের নিম্নাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ চর এলাকার রোপা-আমন ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে রোপা-আমনের তেমন ক্ষতি হবে না, তবে সবজির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যা কবলিত এলাকার খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্যাকবলিতদের তালিকা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন