• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৯:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৯:৩১ পিএম

পটুয়াখালীতে বাদীর হাত-পা গুঁড়িয়ে দিলেন শ্রমিক লীগ নেতা

পটুয়াখালীতে বাদীর হাত-পা গুঁড়িয়ে দিলেন শ্রমিক লীগ নেতা
শ্রমিক লীগ নেতা ও তার সঙ্গীদের আঘাতে গুরুতর আহত ছিদ্দিক হাওলাদার  -  ছবি : জাগরণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বহুল আলোচিত গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার বাদী ছিদ্দিক হাওলাদারের হাত ও দুই পা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মহিপুর থানার চাপলি বাজার এলাকায় এ নির্মম ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওই রাতেই চিকিৎসক দ্রুত বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় মহিপুর থানার পুলিশ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অভিযুক্ত মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল  -  ছবি : জাগরণ

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ এপ্রিল রাতে কলাপাড়া উপজেলার ধুলাশ্বর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে স্বামীকে বেঁধে তার সামনে স্ত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে একদল যুবক। এ অভিযোগে একই এলাকার মৃত মনু মাঝির ছেলে শাহ আলম, মনির হাওলাদারের ছেলে শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আব্দুর রশিদ ও মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিলসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল ধর্ষিতার স্বামী ছিদ্দিক বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। মামলার পর পরই পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসে পরে নিম্ন আদালতে হাজির হয়। এ সময় আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর আসামিরা সবাই জামিন পায়। তিনি জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

হামলার স্বীকার ছিদ্দিক মোবাইল ফোনে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধুলাশ্বর ইউনিয়নের চাপলি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি শ্রমিক লীগ মহিপুর থানার সাধারণ সম্পাদক শাকিল, শাহ আলম, মামুন, রবিউলসহ কয়েক যুবক কোনো কারণ ছাড়াই তাকে রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা গুঁড়িয়ে দেয়। হামলাকারীরা তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে দাবি করেন তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন