• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:৩৬ পিএম

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. বিথীকা বণিক  -  ছবি : জাগরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংস্কৃত বিভাগের উচ্চমান সহকারী মোসা. জেবুন নেসাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. বিথীকা বণিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় জিডি করেছেন।

তাছাড়া বিভাগের সভাপতি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী জেবুন নেসা বলেন, “বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিভাগের সভাপতি ড. বিপুল কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. বিথীকা বণিক অসদাচরণ ও অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলতে থাকেন। ঠিক সে সময় লাঞ্চ করছিলাম। সে অবস্থা থেকে আমাকে উঠিয়ে এনে ‘তুই ফকিন্নির বাচ্চা, ছোটলোকের বাচ্চা, তুই এখন চেয়্যারমানের চামচা’ হয়েছিস ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করতে থাকেন। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামনে আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে বলেন, ‘তুই নিচে নাম, তোকে জবাই করে ফেলব’। এর পর থেকে আমি, আমার তিন ছেলেমেয়ে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

ভুক্তভোগী সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি ড. বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অফিস কক্ষে লাঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, সে সময় আমার কক্ষে প্রবেশ করে আপত্তিকর কথা বলতে বলতে টেবিলের ওপর থাকা এসির রিমোট আমাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন এবং টেবিলের ওপরে থাকা জিনিসপত্র ছুড়তে থাকেন।’ এর আগেও বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং মিটিং ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে সংস্কৃত বিভাগের ড. বিথীকা বণিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সিনিয়র হওয়ার পরও ড. বিপুল বিশ্বাস ন্যূনতম সম্মান দেয় না। বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে রাগের কারণে রিমোট ছুড়েছি।’ কর্মচারীকে হত্যার হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গালিগালাজ করেছি। সম্ভবত আমার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।’

রাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে উপ-উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি ড. বিপুল কুমার বিশ্বাসের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।’ উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এনআই

আরও পড়ুন