• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম

ভালুকাজুড়ে চলছে পাখির নিরাপদ আবাসন তৈরির কাজ

ভালুকাজুড়ে চলছে পাখির নিরাপদ আবাসন তৈরির কাজ

পাখির প্রতি ভালবাসার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে চলেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায়। ‘পাখি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামালের উদ্যোগে ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভুদ্যয়’ এর সহযোগিতায় উপজেলা জুড়ে চলছে পাখির নিরাপদ আবাসন তৈরির কাজ। গাছের ডালে ডালে মাটির হাড়ি বেঁধে পাখির বাসা নির্মাণ করে দেওয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে উপজেলার সর্বস্তরের শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত ৪ আগস্ট এই কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। 

জানা যায়, পাখির বংশ বিস্তার বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের বাঁচাতে এই ব্যতিক্রমী কাজের উদ্যোক্তা ভালুকা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল। তার আহবানে এ কঠিন কাজটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভুদ্যয়; এর সদস্যরা। তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের ডালে ডালে মাটির হাড়ি বাঁধছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়নে মোট ২৭ দিনে মোট ৫ হাজারের বেশি পাখির নিরাপদ আবাসন স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন তারা। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বাকি আরও ৮টি ইউনিয়নেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


 
সমাজসেবায় উৎসাহ মূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভ্যুদয়’ এর সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান সুমন দৈনিক জাগরণকে জানান, ‘দিন দিন আমাদের দেশ পাখি শূন্য হয়ে পড়ছে। বিষয়টা আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এটা অত্যান্ত মহৎ ও প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। আমারা ‘অভ্যুদয়’ এর স্বেচ্ছাসেবীরা আনন্দের সাথেই কাজটি করছি। পাখির জন্য কিছু করতে পেরে নিজেদেরও খুব গর্বিত মনে করছি। আল্লাহর রহমতে ইতোমধ্যেই আমাদের স্থাপনকৃত হাড়িতে পাখিরা বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। 

স্থানীয় সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মো. কামরুল হাসান পাঠান জানান, ‘আমাদের দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিশীম। কিন্তু এ প্রাণীটি অত্যান্ত অবেহেলিত। এত বৃহৎ পরিশরে মহৎ এ উদ্যোগের উদ্যোক্তা ইউএনও মাসুদ কামাল ও অভ্যুদয়ের স্বেচ্ছাবেসীদের আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ তাদের এ মহৎ কাজটিকে কবুল করুন। 

ব্যতিক্রমী এ কাজের উদ্যোক্তা ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, ‘দিন দিন আমাদের দেশের বন জঙ্গল মারাত্মকভাবে উজার হচ্ছে, এতে দেশ দিন দিন পাখি শূন্য হয়ে পড়ছে। পাখির বংশ বিস্তার বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাখি আমাদের জন্য উপকারী হলেও অবহেলিত একটি জীব। তাই গোটা উপজেলার জঙ্গলে জঙ্গলে ও নির্জন স্থানে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল স্থাপনের পরিকল্পনা করি। আমার আহবানে কঠিন এ কাজটি বাস্তবায়নে সহযোগীতা করছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভুদ্যয়’ এর সদস্যরা। 

কেএসটি

আরও পড়ুন