• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম

পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা 

ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা 

খুলনা জিআরপি থানা হেফাজতে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিন নারীর পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি শুনানি ও ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলার আরজি গ্রহণ করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (আদালত-৩) মামলাটি দায়ের করেন ভিকটিমের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম। 

খুলনা রেলওয়ে থানার (জিআরপি থানা) তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা মো. উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে গণধর্ষণের এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম জানান, ২ আগস্ট রাতে জিআরপি থানার মধ্যে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য গণধর্ষণ ও মারধর করে বলে ওই নারী আদালতে অভিযোগ করেন। ৩ আগস্ট আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ  দেন। আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। অ্যাডভোকেট মোমিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় যেহেতু গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে তাই এবার ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদারত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১০ আগস্ট রাতে জিআরপি থানায় আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি সংশ্লিষ্ট বিধানমতে গ্রহণ করে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। 

৭ আগস্ট (বুধবার) খুলনা রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠানসহ এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার  করা হয়। 

কেএসটি

আরও পড়ুন