• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৮:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯, ০৮:৩৬ এএম

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে যাতায়াতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় একমাত্র ভরসা। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি জেনেও পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। 

জানা গেছে, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামের শত শত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন এই সাঁকোটি দিয়ে ওই এলাকার শতশত মানুষ পারাপার হচ্ছেন।

খোর্দ্দা গ্রামের ইমামগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশেই তাম্বুলপুর ছড়া নদীর উপর বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত দুই বছর আগে নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে মেরামত না করায় বর্তমানে নড়বড়ে হয়ে পড়ে। 

এই সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন চলাচলকারীরা। প্রতিদিন হাট-বাজারসহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করে আসছে। দু’পাড়ের মানুষের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাকোটি নির্মাণ করেন।

ওই পথ দিয়েই পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ গাইবান্ধাসহ বিভাগীয় শহর রংপুর যাতায়াত করে থাকেন। খোর্দ্দার চরের আ. রশিদ বলেন, সাঁকোটি দিয়ে যখন শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার হয় তখন উৎকণ্ঠায় চেয়ে দেখি। 

জ্যোৎনা বেগম নামে এক অভিভাবক জানান, তার স্বামী জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকেন। তাই তার দুই শিশুর স্কুল যাতায়াতের সময় সাঁকোটি পর্যন্ত যেতে হয়। বর্তমানে মেরামত করার অভাবে দিনদিন সাকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

ওই অঞ্চলের ভুক্তভোগীদের দাবি জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোর স্থলে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হোক। এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে উপজেলায় সর্বমোট ১শ মি. দীর্ঘ ব্রীজের তালিকা করা হয়েছে। সেখানে চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন