• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ১০:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম

নোয়াখালীতে স্পিরিট পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জন

নোয়াখালীতে স্পিরিট পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হোমিও দোকানের স্পিরিট পান করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় ছয়জন মারা গেলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও পাঁচজন। পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়মকে আটক করেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্পিরিট পানে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন- বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড বাঁশ ব্যাপারী বাড়ির মৃত এছাক মিয়ার ছেলে নুরনবী মানিক (৫২), একই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে লিটন (৫০), খিরুদ মহাজন বাড়ির মৃত অনিল কুমার দের ছেলে রবি লাল (৫৫), সিরাজপুর ৫নং ওয়ার্ডের মতলব মিয়ার বাড়ির মৃত রইসল হকের ছেলে সবুজ (৪৫), একই এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নগর এলাকার মহিন উদ্দিন ড্রাইভার (৪০) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আবদুল খালেক (৬৫)।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বসুরহাট বাজারের পান বাজার সংলগ্ন ‘রফিক হোমিও হল দোকান’ থেকে স্পিরিট নিয়ে কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পানের পর ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানার আগেই তিনজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাকি তিন জনের শেষকৃত্য এখনো সম্পন্ন হয়নি। পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়ের লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই দোকানের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম অনেক দিন ধরে খোলামেলাভাবে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছেন। স্পিরিট বিক্রির টাকায় তারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে বহুতল ভবনও করেছেন।

এ ঘটনায় চিকিৎসক জায়েদকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে তার ছেলে প্রিয়মকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশ মৃতদের বাড়ি পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

কেএসটি

আরও পড়ুন