• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৬:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম

আত্মহত্যা করে প্রেমের ইতি টানল সোহাগ

আত্মহত্যা করে প্রেমের ইতি টানল সোহাগ
সোহাগ আহম্মেদ ও জাকিয়া ইসলাম জান্নাত-সংগৃহীত

আত্মহত্যা করে ভালোবাসার সমাপ্তি টানল প্রেমিক সোহাগ আহম্মেদ (১৯)। অন্যদিকে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে হারপিক খেলেও এখনো বেঁচে আছে প্রেমিকা জাকিয়া ইসলাম জান্নাত (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লায়।

নিহত সোহাগ আনন্দনগর এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার মো. জহুরুল ইসলামের মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহাগ রাজশাহী পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ২য় বর্ষে পড়াশোনা করত এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত রাজশাহী সিটি কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষে পড়াশোনা করত। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৬ মাস যাবৎ তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

সর্বশেষ দুজনই বাড়িতে এসেছিল। বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চলনবিল বিলশাতে তারা ঘুরতে যায়। তাদেরকে প্রতিবেশীদের মধ্যে কেউ একজন দেখতে পেলে জান্নাতের পরিবারকে তা অবগত করে। এটা জানতে পেরে পরিবার থেকে তাকে বকাঝকা করা হয়। একপর্যায়ে জাকিয়া ইসলাম জান্নাত বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করে। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় সোহাগের পরিবারকে। পরে সোহাগ বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।

দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে তাদের দুজনের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। এ কথা শুনেই সোহাগ পাশেই তার চাচার বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে প্রেমিকা জান্নাত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন