• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০৯:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৮, ২০১৯, ০৯:৪৯ পিএম

প্রতিমা বিসর্জনে কক্সবাজার সমুদ্রতীরে লাখো মানুষের মিলনমেলা

প্রতিমা বিসর্জনে কক্সবাজার সমুদ্রতীরে লাখো মানুষের মিলনমেলা
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জন  -  ছবি : জাগরণ

প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তীরে লাখো মানুষের মিলনমেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

জেলার ৭১টি ইউনিয়নের ৩১০টি পূজামণ্ডপে আয়োজন করা হয় শারদীয় দুর্গাপূজার। এছাড়া মিয়ানমার থেকে এসে আশ্রয় নেওয়া উখিয়ার কুতুপালং হিন্দু শরণার্থী ক্যাম্পেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, জেলার রামুসহ কয়েকটি উপজেলায় পৃথক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হলেও শুধু সৈকতের এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ২৫০টির অধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বেলা ২টার পর থেকে ট্রাকে করে শোভাযাত্রাসহকারে প্রতিমা নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে আসতে শুরু করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিসর্জনের আগ পর্যন্ত সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা ও আরতি। শুধু তা-ই নয়, নাচে-গানে এক অন্য রকম আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের। সনাতন ধর্মের পুণ্যার্থী ছাড়াও এই মিলনমেলায় ছিলেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বিজয়া মঞ্চ থেকে বিসর্জনের অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৩ টায়। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল অব. ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় ৩১০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিমা বিসর্জন নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিসর্জনের মন্ত্র পাঠ করেন পুরোহিত স্বপন ভট্টচার্য্য।

জানা গেছে, সমুদ্রসৈকত ছাড়াও একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

এনআই

আরও পড়ুন