• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০১৯, ১০:৪২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০১৯, ১০:৪২ এএম

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ডাউকি গ্রামে স্কুলছাত্রীকে গান শেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। 

পুলিশ ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে হাজেরা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত ইয়াছিনের ছেলে হবিবার (৬০) দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাড়িতে ফকিরের আড্ডাখানা চালিয়ে আসছেন। এরই জের ধরে বিভিন্ন এলাকার নারীদের নিয়ে তিনি গান-বাজনা করতেন। ছয় মাস আগ থেকে হবিবার ফকিরের সম্পর্কের নাতনি ষষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরপর দীর্ঘদিন যাবৎ ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ধর্ষিতার দাদি জানান, কয়েক মাস পূর্বে গোসলের সময় তার নাতনির মাজায় একটি তাবিজ দেখতে পান তিনি। তাবিজের বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিজটি হবিবার ফকির তাকে দিয়েছে বলে সে জানায়। এ কথা জানার পর তার দাদি তাবিজ ছিড়ে পানিতে ফেলে দেন। এরই কয়েক দিন পর স্কুলছাত্রীর সম্পর্কের চাচি ইউনুচ আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন ও রাজ্জাকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বিভিন্ন সময় দিনে-রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যেতেন। এতে করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। কয়েক দিন পূর্বে ছকিনা খাতুন নামের ওই নারী সন্ধ্যা রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে ডাকতে আসেন। এ সময় তাদের পিছু নিলে কিছুক্ষণ পর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা হাতেনাতে দেখেন। এ ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসের চেষ্টা চালান ফকির হবিবার।

ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর উপস্থিতিতে তার পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষকের সহযোগী হারেজা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ফকির হবিবার ও তার সহযোগী ছকিনা খাতুন পলাতক আছেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে হাজেরা খাতুন নামের এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন