• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৫:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৫:০১ পিএম

আসল-নকল দুই আসামিই শ্রীঘরে

আসল-নকল দুই আসামিই শ্রীঘরে

টাকার বিনিময়ে আদালতে হাজিরা ও জেল খাটার জন্য লোক ভাড়া করেও শেষ রক্ষা হয়নি মূল আসামি ভূমিদস্যু রহমত আলী মন্ডলের। ঘটনা জানাজানি হলে আসল-নকল দুই আসামিকেই যেতে হয়েছে শ্রীঘরে। চাঞ্চল্যকর এই জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ বন আদালতে।

রায় ঘোষণার পর মামলার প্রধান আসামিকে বাইরে অবাধে ঘুরতে দেখে সবাই হতবাক। এলাকাবাসী আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে জানাজানি হয় জালিয়াতির এই কাহিনি।

আদালত সূত্র জানায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজায় সরকারি বনের জায়গা জবরদখল করে ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী রহমত আলী মন্ডলের নির্দেশে তারা মিয়া ইট দিয়ে পাকা সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করছিলেন। এ সময় বন বিভাগের টহলদল ঘটনাস্থল থেকে তারা মিয়াকে আটক করলেও পালিয়ে যান রহমত আলী মন্ডল।

এ ঘটনায় বন বিভাগের স্থানীয় বিট কর্মকর্তা এস এম সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বন আদালতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সিংগারদীঘি গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলী মন্ডলের ছেলে রহমত আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে টাকার বিনিময়ে পরিচয় গোপন করে হবিরবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জনৈক শামীম মিয়া মূল আসামি রহমত আলী মন্ডল সেজে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১৭ জুন আসামির অনুপস্থিতিতে ময়মনসিংহ বন আদালতের বিচারক ড. মো. রাশেদ হোসাইন এক আদেশে তারা মিয়া ও রহমত আলী মন্ডকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর রহমত আলী মন্ডল সেজে ফের শামীম মিয়া আপিলের জন্য ময়মনসিংহের বন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে রায় ঘোষণার পর রহমত আলী মন্ডলকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে হতবাক এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি কফিল উদ্দিন মাহমুদকে জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আইনজীবী জালিয়াতির ঘটনাটি জেলা দায়রা জজ আদালতের নজরে আনেন।

ময়মনসিংহ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ১৫ জুলাই রহমত আলী মন্ডলের পরিচয়ে শামীম মিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল আবেদন ও জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত আবেদনকারীর পরিচয় যাচাইয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে রহমত আলী মন্ডল আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে আদালত তাকেও জেলহাজতে পাঠান।

এনআই

আরও পড়ুন