• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম

মেয়ের বিয়ে দেয়া হলো না আকুব্বরের

মেয়ের বিয়ে দেয়া হলো না আকুব্বরের

একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেয়া হলো না বাবা আকুব্বর হোসেনের। বিয়ের এক দিন আগে বাড়ির পাশের লিচু গাছে আকুব্বরের লাশ ঝুলতে দেখেন স্বজনসহ এলাকাবাসী। পুলিশের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে চড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গাছটির ডালে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিলেন আকুব্বর। এরপর লাশ নামিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন স্বজনেরা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রথম স্ত্রীর স্বজনদের বিয়ের দাওয়াত দেয়া নিয়ে ‘ঝামেলা’ চলছিল দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে। এ নিয়ে টেনশনে ছিলেন আকুব্বর।

প্রতিবেশীদের কথায়, পুলিশ ও সমাজপতিরা এসেছিলেন আকুব্বরের বাড়িতে। সবার সাথে ‘আপস’ করার পর লাশ দাফন করা হয়েছে। পুলিশ লাশ দাফনে মৌখিক অনুমতি দেয়। লাশ থানায় নিয়ে যায়নি পুলিশ।

স্বজনেরা জানান, আগামীকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) উপজেলার ধানুয়াঘাটা গ্রামের এক ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন আকুব্বর। এ জন্য বিয়ের বাজারও শেষ করেছিলেন তিনি। স্বজনদের বেশির ভাগকে দাওয়াত দেয়া শেষ হয়েছিল।

প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আকুব্বর। ঘরে তার প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীসহ এক ছেলে রয়েছে। আকুব্বর হোসেন গ্রামটির বাসিন্দা রমজান আলীর ছেলে।

ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন থানার এসআই মনির উদ্দিন। তার কথায়, ‘সন্দেহ করার মতো কোনো উপসর্গ না থাকলে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা যায়। আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি আত্মহত্যাই করেছেন। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে ও তদন্ত করেই আমি এটা নিশ্চিত হয়েছি।’

আকুব্বরের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মেয়েসহ স্বজনেরা। মেয়ের বিয়ের এক দিন আগে কেন আত্মহত্যা করলেন আকুব্বর? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মনে।

এনআই

আরও পড়ুন