• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০১৯, ০৭:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১১, ২০১৯, ০৭:৫১ পিএম

কনের আসনে কনের ভাবি

কনের আসনে কনের ভাবি

বিয়েবাড়ি। আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। উভয় পক্ষের খাওয়াদাওয়া শেষ। এবার কবুল পড়ার পালা। সেই মুহূর্তে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল কনে। শুধু তা-ই নয়, যে ইমাম কবুল পড়াবেন তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেখেই দিলেন ভোঁ-দৌড়। কনের জায়গায় কনের ভাবিকে রেখে শুরু হলো নাটকীয় অভিনয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কিছুক্ষণ পর ধরা পড়ে গেল কনেবাড়ির লোকজন। কনের ভাবি ও তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলায়।

উপজেলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ফোন করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেনের কাছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনেকে না পেয়ে কনে সেজে বসে থাকা তার ভাবি ও ভাইকে আটক করে নিয়ে আসেন।

পরে বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা করায় কনের ভাইকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর ৮ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়।

এনআই

আরও পড়ুন