• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৯:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৯:২৪ পিএম

ইউপি নির্বাচন

ঘুমধুমে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা, বিজিবির গুলিতে নিহত ২

ঘুমধুমে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা, বিজিবির গুলিতে নিহত ২
নিহতদের স্বজনদের আহাজারি - ছবি : জাগরণ

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে একটি ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ এক স্কুল ছাত্রকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফাত্রাঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ভোটার সৈয়দ আলম জানান, জালভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে বিকালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী বাবুল তংচঙ্গার কয়েকশ সমর্থক লাটিসোটা নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলে সংঘবদ্ধ হয়। ভোটকেন্দ্রের বাউন্ডারির বাইরে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তাদের বচসা হয়। একপর্যায়ে বিজিবির ওপর চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় বিজিবি সদ্যসরা নিজেদের জানমাল ও অস্ত্র-গোলাবারুদ রক্ষার্থে ৩/৪ রাউন্ড গুলি ছুটে।

স্থানীয় ওলা মং চাকমা জানান, বিনা উস্কানিতে বিজিবি সদস্যরা গুলি করেছে। অং কি চং জানান, ভোটকেন্দ্র থেকে অন্তত দুইশ গজ দূরে মেম্বার প্রার্থী বাবুল তংচঙ্গার বাড়ির উঠানে জড়ো হওয়া উৎসুক লোকজনদের কাছে গিয়ে বিজিবি লাটিপেটা শুরু করে। লোকজন এর প্রতিবাদ জানালে অহেতুক বিজিবি গুলিবর্ষণ করে।

বিজিবি সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ফাত্রাঝিরি উপজাতি গ্রামের মৃত চৈমেরাউন চাকমার ছেলে মংকিচা (৫০) মারা যায়। গুলিবিদ্ধ গুরুতর অবস্থায় একই এলাকার ক্লালাউ চাকমার ছেলে অংচামং চাকমা (৪৫) ও অং কি ছিং চাকমার ১০ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে উই লে চাকমাকে (১৬) উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উখিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসাদুল্লাহি গালিব জানান, অং চা মং চাকমা পথেই মারা যায়। গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র উই লে চাকমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় স্থানীয় উপজাতি ও বাঙালিদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার এমদাদুল্লাহ মো. উসমান বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে আসছিল। এর মধ্যে বাইরে উচ্ছৃংখল পরিস্থিতি শুরু হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বিজিবি চেষ্টা করলে তারা বিজিবির ওপর হামলার চেষ্টা করে, তখন বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বান্দরবানের সার্কেল এএসপি রেজোয়ানুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

উল্লেখ্য, সোমবার ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। ফাত্রাঝিরি ভোটকেন্দ্রটি ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ভোট কেন্দ্র। 

বিজিবির সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এফসি

আরও পড়ুন