• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ১০:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ১০:১৫ এএম

১৫তম স্প্যান প্রস্তুত

দৃশ্যমান হতে চলেছে পদ্মা সেতুর ২ হাজার ২৫০ মিটার 

দৃশ্যমান হতে চলেছে পদ্মা সেতুর ২ হাজার ২৫০ মিটার 

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার জাজিরা প্রান্তে ১৫ নম্বর স্প্যানটি ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের উপর স্থায়ীভাবে বসানো হবে। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান ‘৪-ই’ বসানো হলে দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ২ হাজার ২৫০ মিটার। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. কাদের জানান, সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন এরিয়া থেকে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’র মাধ্যমে স্প্যানটি নেয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের কাছে জাজিরা প্রান্তে।  

তিনি আরো জানান, জাজিরা প্রান্ত থেকে রওনা দিয়ে এখন স্প্যানটি ২৮-২৯ নম্বর পিলারের কাছে নোঙর করা আছে। চ্যানেলে ড্র্রেজিং কাজ চলছে। ড্রেজিংয়ের ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি ১৬-১৭ তারিখের মধ্যে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানোর কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রকৌশলীরা আরো জানান, বর্ষাকালে পদ্মা নদীকে প্রচুর পলি জমে চ্যানেলগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই নাব্য সংকটের কারণে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি চলতে পারে না। এজন্য স্প্যান বসানোর সিডিউল একটু আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়। তবে ‘৪-ই’ স্প্যান ছাড়াও কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও ৬টি স্প্যান প্রস্তুত আছে। ১৫তম স্প্যান বসানোর পরপরই নিয়মিতভাবে বাকি পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। 

জানা যায়, সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩৬১টি এবং প্রস্তুত আছে ২৮৮৫টি। অন্যদিকে, রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে ৫৩টি এবং প্রস্তুত আছে ১৫২০টি। পদ্মা সেতুতে ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ২৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

প্রসঙ্গত জাজিরাপ্রান্তে ১০টি স্প্যানের মোট ১৫০০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৬০০ মিটার হিসেবে সেতুর মোট ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে না থেকে বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন