নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে শীর্ষ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে মাদক উদ্ধার হলেও পুলিশ বলছে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাদক ব্যবসায়ী জহিরুল, দুই সহোদর জুয়েল, সোহেল ও পারভেজ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদক, নারী নির্যাতন, ইভটিজিংয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকারীদের বুধবার (১৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পাঠায়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে জহিরুলসহ ৭-৮ জনের একটি দল পাইকপাড়া গ্রামে মাদক সেবনসহ ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। এ সংবাদে এলাকাবাসী ৯৯৯-এ ফোন করলে বারদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলমগীরের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ চারজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করে। তবে মাদক উদ্ধার হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জহিরুলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, ইভটিজিং, জায়গা-সম্পত্তি দখলসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। তারা সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জহিরুল হকের ছত্রচ্ছায়ায় এই অপকর্ম করে থাকে।

এদিকে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মাদক, নারী নির্যাতন ও ইভটিজিংয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেফতারকৃত জহিরুল বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে, জুয়েল ও সোহেল একই গ্রামের ডা. সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং পারভেজ ওই এলাকার ডা. আলমগীরের ছেলে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বারদী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এনআই