• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম

নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমনের আবাদ

নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমনের আবাদ

নওগাঁ জেলায় চলতি আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগের নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ২৯ হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৬ হেক্টর। বিপরীতে জেলার ১১টি উপজেলায় এ বছর আমন চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে। খরিপ২/২০১৯ রোপা আমন আবাদের আওতায় উল্লেখিত পরিমাণ জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। 

সূত্র মতে, উপজেলাভিত্তিক আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় উফশী জাতের ৮ হাজার ৬৯০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৯৭৫ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ৭০ হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় উফশী জাতের ১৭ হাজার ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৪৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় উফশী জাতের ৩ হাজার হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ১২৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় উফশী জাতের ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৫০০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় উফশী জাতের ১৮ হাজার ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় উফশী জাতের ২৫ হাজার ১০০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৩ হাজার হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় উফশী জাতের ১৯ হাজার ৪৩ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ৬৬৩ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় উফশী জাতের ১০ হাজার ১০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৫০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় উপশী জাতের ১৫ হাজার ৪৮২ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ২৭০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় উফশী জাতের ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় উফশী জাতের ২৫ হাজার ৩০৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর।

জেলার রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ধানের দাম নেই ধানের বাম্পার ফলন দিয়ে কি করবো? ধান চাষ না করলে জমিটা পতিত পড়ে থাকবে তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ধানের চাষ করছি। তবে এখন পর্যন্ত আমন ধানের অবস্থা খুবই ভালো। যদি এই আবহাওয়া বর্তমান থাকে, কোন বালাইনাশকের আক্রমণ না হয় আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয় তাই বাম্পার ফলনের আশা করছি। তবে কৃষকদের বাঁচাতে হলে ধানের বাজার বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, চাষকৃত ধানের মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬১ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৮ হাজার ৯৮৮ হেক্টর এবং হাইব্রীড জাতের ১৩০ হেক্টর। কৃষকরা এ বছর উফশী জাতের মধ্যে স্বর্ণা, ব্রীধান-৩৪, ব্রীধান-৪৯, ব্রীধান-৫১, ব্রীধান-৫২, বিনা-৭, রঞ্জিত এবং পাইজাম উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিনি আতপ এবং বিন্না ফুল।

কেএসটি

আরও পড়ুন