• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ১২:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ১২:১৩ পিএম

২০ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ

২০ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২০ শিক্ষার্থীর চুল কাটলেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় পরীক্ষা না দিয়ে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকে পরীক্ষা দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ, রিপন, ইয়াসিন শেখ জানায়, বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসাইন কাঁচি (কেচি) দিয়ে ২০ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে।
 
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী জানায়, বাংলা পরীক্ষার ১ম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করি। 

এ বিষয়ে কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. বাকের হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। তারা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিব না এ কথা বলিনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন