• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম

অবহেলা-অযত্নে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পুঠিয়ার ইউপি গণমিলনায়তন 

অবহেলা-অযত্নে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পুঠিয়ার ইউপি গণমিলনায়তন 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিনে ছয়টি ইউনিয়নের গণমিলনায়তন কেন্দ্রগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে গত দেড় যুগ ধরে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় গণমিলনয়াতন কেন্দ্রগুলো স্থানীয় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা দখলে নিয়েছে। দিন দিন লুটপাট হয়ে যাচ্ছে গণমিলনায়তনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। স্থানীয়রা দাবি করছেন পুনরায় ইউনিয়ন গণমিলনায়তনগুলো চালু করলে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এলাকার যুবসমাজকে কর্মসহায়ক ভূমিকা রাখবে।
  
উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন সমাজ সেবা গণমিলনয়াতন কেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়ে ছিল। সে সময় সারাদেশের মোট ১৯টি জেলার মডেল উপজেলাগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই গণমিলনায়তনের। যা তৃর্ণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষদের কারিগরি শিক্ষা, স্বল্প ও সহজ সুবিধায় ঋণ প্রদানের পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনের সহায়ক ভূমিকা রাখতো। সে সময় পুঠিয়া উপজেলায় মোট ৬টি গণমিলনায়তন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এগুলো হচ্ছে শিলমাড়িয়া, জিউপাড়া, ভালুকগাছি, বানেশ্বর, বেলপুকুর ও সদর ইউনিয়ন এলাকায়। আর গণমিলনয়াতনগুলো তদারকির করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন অবকাঠামো সংকট ও রক্ষণা-বেক্ষণের অভাব দেখিয়ে ১৯৯২ সালের দিকে ইউনিয়ন এলাকা থেকে গণমিলনায়তনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে উপজেলা সদরে আনা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তদারকির অভাবে ইউনিয়ন সমাজ সেবা গণমিলনায়তন কেন্দ্রগুলো ঝোপ-ঝাড়ে পরিণত হয়ে আছে। বেশির ভাগ কেন্দ্রের দরজা-জানালা নেই। বিভিন্ন আসবাপত্র ও সরঞ্জামাদি অযত্নে অবহেলায় যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভেতরে ও বাহিরে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবীদের আনাগোনাও দেখা গেছে। স্থানীয়রা গণমিলনায়তন ভবন গরু-ছাগলের খাবার ও খড়ি রাখার ঘর হিসাবে ব্যবহার করছেন।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান বলেন, ইউপি ৬টি গণমিলনায়তন কেন্দ্রের মধ্যে এখনো দু’একটি ব্যবহার উপযোগী আছে। যেহুতু আমাদের ফান্ড নেই তাই পরিত্যক্ত ভবনগুলো এই মুহুর্তে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। 

এ ব্যাপারে রাজশাহী চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, তৃর্ণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের জন্য ইউপি গণমিলনায়তন কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়েছে। অচিরেই এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করা ও পূর্বের ন্যায় সাধারণ মানুষের কারিকুলামে প্রশিক্ষণে সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন