• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০২:৫৭ পিএম

৪০৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৫ শিক্ষক

৪০৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৫ শিক্ষক

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাঘোয়া ইউনিয়নের রুপার বাজার এলাকায় অবস্থিত তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে শিক্ষক সংকট। যার কারণে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির উত্তর পাশে দোতলা একটি সুন্দর ভবন। এর সঙ্গেই রয়েছে বন্যা উপযোগী উঁচু করে করা সুদৃশ্য দুটি পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। পূর্বের দিকে স্কুল মাঠের পর খোলা দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ আর সবুজ। দক্ষিণ পাশটায় একটি পুকুর আর পশ্চিমে ছাদ পেটানো একটি ভবন (শ্রেণী কক্ষ)। দুর্গম অঞ্চলের মনোরম পরিবেশে হঠাৎ কানে আসে শিক্ষার্থীদের হৈ-হুল্লোড়। কেউ বারান্দায়, কেউ মাঠে এলোমেলো হয়ে ঘোরাঘুরি করছে। এতে বোঝা গেল- ওই শ্রেণী কক্ষে শিক্ষক নেই।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৪০৫ জন। এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক আছে মাত্র ৫ জন। পিওন কাম প্রহরী পদে আছেন একজন। একজন শিক্ষক ডিপিইড প্রশিক্ষণে গেছেন দেড় বছরের জন্য। প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। চাইলেও নিয়মিত ক্লাস নিতে পারেন না। আর বাকি তিন শিক্ষককে সব ক্লাস। এর মধ্যে আগামী মাসে একজন শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাবেন আগামী ২৩ অক্টোবর। 

এভাবেই শিক্ষক সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে শতকরা ৮৫ ভাগ উপস্থিতি সম্পন্ন বরাবর ভালো ফলাফল করে আসা বিদ্যালয়টি। এক সাথে ছয় শ্রেণীর চার ক্লাসে পাঠদান চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। 

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আখতার বলেন, এই বিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৩টি শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে রুকসানা ইসলাম ডিপিইড করতে গেছেন। সহকারী শিক্ষক লায়লা বেগম অসুস্থজনিত কারণে ছুটিতে আছেন। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ, বিদ্যালয় পরিচালনা এবং পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

সহকারী শিক্ষক রাজিয়া আক্তার বলেন, প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় পালাক্রমে পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী অনেক। সে তুলনায় শিক্ষক কম। যার কারণে তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। একসাথে একাধিক ক্লাসে ক্লাস চালানো সম্ভব হয় না।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি এনামুল হক সরকার জানান, শূন্যপদ পূরণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অবহিত করার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাপারটি আমার নজরে এসেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলেই সেখানে নতুন শিক্ষক দেয়া হবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন